বিশেষ প্রতিবেদক, সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর লক্ষাধিক টাকার ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের খন্ডকালীন সাব রেজিস্টার আজমল হোসেনের বিরুদ্ধে জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি আইন ভঙ্গের মাধ্যমে সরকার কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর গুরুতর অপরাধ করা হয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সিঙ্গারবিল মৌজার অন্তর্গত সিঙ্গারবিল বাজারের উত্তর পশ্চিম পাশের একটি ভূমি যা বিএসএ খতিয়ানে জমির শ্রেনির কলামে স্পষ্ট “কারখানা ” লেখা থাকলেও অবৈধ ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে জমিটি ভিটি হিসেবে এ বছরের ১১ মার্চ সাব রেজিস্ট্রি করেছেন সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের খন্ডকালীন সাব রেজিস্টার মোঃ আজমল হোসেন। যা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে করা হয়েছে। বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন লক্ষাধিক টাকা ঘুষ। যা সরকারি এক কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী বিধিমালার পরিপন্থী গুরুতর অপরাধের সামিল।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি, ভূমি মন্ত্রী, বাংলাদেশ নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দূর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা প্রশাসক এর নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন সাধারন জনগন সহ সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে জেলা সাব রেজিস্টার ও সদর সাব রেজিস্টার পদটি শূন্য থাকায় খন্ডকালীন সাব রেজিস্টার দিয়ে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগে যে যেদিকে সুযোগ পাচ্ছে সেদিকেই অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছে দেদারছে। আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে জমি রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে সকল কাজেই অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে সাব রেজিস্টার আজমল হোসেন ও তার সহযোগীরা।
জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে অবৈধ ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে জায়গা সাব কাবলা করার কথা অস্বীকার করে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের খন্ডকালীন সাব রেজিস্টার আজমল হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি যা মন চাই করেছি। আপনি যা পারেন করেন। তবে আপনাকে দেখে নেব।
বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। আর ভিজিট করুন সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম। (চলবে)।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply